চাঁদে অবতরণের ৪১ বছর পূর্তির পক্ষকাল ব্যাপি আয়োজন
- ১৪:২৭
- কার্যক্রম প্রতিবেদন
- ২৬৬২
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই তারিখে অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানে চড়ে চাঁদে পদার্পণের ঘটনা মহকাশ জয়ের স্বপ্নে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। উন্মোচিত হয় বিজ্ঞানের অভিযাত্রার এক নতুন দিগন্ত। সেই ঐতিহাসিক অর্জনের ৪১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান সংগঠন ‘কসমিক কালচার’, ‘বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন’ এর উদ্যোগে গত ২০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট ২০১০ পর্যন্ত দুই সপ্তাহ ব্যাপী বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল অলিয়ঁস ফ্রসেজ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় অমৃত কনজ্যুমার ফুড প্রোডাক্টস লিঃ।
২০ জুলাই, ২০১০ তারিখ বিকেল পাঁচটায় মিরপুর রোডের উদ্বোধনের মধ্যে দুই সপ্তাহের এই কার্যক্রমের শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান সংগঠন কসমিক কালচার এর সভাপতি মিঃ অনীশ মন্ডল, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মিঃ মশহুরুল আমিন, অমৃত কনজুম্যার ফুড প্রোডাক্টস লিঃ এর বিক্রয় বিভাগের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মিঃ কার্তিক দে এবং অলিয়ঁস ফ্রসেজ এর উপ পরিচালক জ্যাঁ বুনো।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রধানের অতিথির বক্তব্যে বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিজ্ঞানমনস্কতার ভিত্তিতে তাদের যৌক্তিক বিকাশ এবং বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমেই আমরা আগামীর সম্ভাবনাময় জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারি, যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে আজ থেকে ৪১ বছর পূর্বে মানুষ চাঁদে পাড়ি জমিয়েছিল। একই সময়ে তিনি উদ্বোধনের মাধ্যমে কসমিক কালচারের ওয়েবসাইট www.cosmicculture.org এর শুভ সূচণা করেন।
পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনে তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্বের উত্তর দেন। পরে এ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানের মাধ্যমে চাঁদে অভিযানের উপরে প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আমরা বিশ্বাস করি দেশের বিজ্ঞান সংগঠনগুলোর মেলবন্ধনে নিয়মিত বিজ্ঞান কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যৌক্তিক চিন্তার বিকাশ ও মানবিকতার উত্তরণ ঘটানো সম্ভব।